১. কিছু লোকের ধারনা উনার এক রিং এ দুনিয়ার সবাই কল রিসিভ করতে বাধ্য। আর রিসিভ না করলে উনি অবুঝ গার্ল্ফ্রেন্ডের মত কলের পর কল করতেই থাকে। সভ্যতা হলো, দুইবারের বেশি কাউকে এক নাগারে কল দেবেন না। হয়ত সে অন্যকোনো জরুরী কাজে ব্যস্ত। আর হ্যা, জরুরী না হলে কাউকে রাত দশটার পর কল দেবেন না, আপনি যদি মংগোলিয়া থেকে কল করেন, সেইটা আপনার ব্যাপার; রাত দশটা মানে, যাকে কল করসেন তার ঐখানে রাত দশটা।
২. ট্রিট দিবেন বলে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাবার পর দেখবেন কেউ কেউ এক্সপেন্সিভ সব ডিশ অর্ডার করতে শুরু করে। ফ্রি পাইলে বাঙালি আলকাতরা খায় আর ট্রিট পাইলে ক্যাভিয়ার শ্যাম্পেন মারতে চায়। ভদ্রলোক হলে ট্রিট পেতে গিয়ে ভুলেও দামী ফুড অর্ডার করবেন না। বরং পারলে যে ট্রিট দিচ্ছে তাকেই মেনু সিলেক্ট করতে দিন।
৩. “তুমি এখনো বিয়ে করো নাই?” “আপনার বাচ্চা কাচ্চা হয়না?” “ফ্ল্যাট কিনবা কবে?” “আপনার ওজন কত?” “ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন? কী হইসে?” বেহুদা এইসব প্রশ্ন করবেন না, এই জাতীয় প্রশ্ন করা স্রেফ অসভ্যতা।
৪. নিজে ভালো করে না জেনে, পাব্লিকলি আরেকজনকে শিখাইতে আসবেন না। প্রশংসা করবেন পাব্লিকলি আর ক্রিটিসাইজ করবেন ইনবক্সে। আরেকজনের মতামতের গুরুত্ব দিন। কথার মাঝখানে বাম হাত ঢুকাবেন না, ত্যানাও প্যাচাবেন না। ভুল করেছেন টের পাওয়া মাত্র সরি বলে ফেলুন। আর কেউ সরি বললে তাকে ফার্দার হেনস্থা করবেন না।
৫. নিজের মোবাইলে কেউ কোনো ছবি দেখতে দিলে অযথা পরের কিংবা আগের ছবিটি দেখবার চেষ্টা করবেন না, কারন পরের ছবিটি হয়ত এমন কোনো ছবি যা আপনাদের দুজনের জন্যই অস্বস্তিকর হতে পারে। ইন্ডোর ক্লাশ কিংবা সেমিনারে মোবাইল সাইলেন্ট রাখুন। মেসেঞ্জারে এড আছে বলেই কল করে বসবেন না। প্রথমে মেসেজ দিন, অপরপক্ষ কথা বলতে আগ্রহী কিনা জানুন। জোর করে কাউকে ফেসবুকে এড করতে বাধ্য করবেন না। বারবার কারো মোবাইল নম্বর চাওয়াটাও অনুচিত।
৬. নিজের সন্তান ছাড়া অন্য কারো বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরা বা চুমু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৭. কেউ কিছু খেতে অফার করলে, আপনি খেতে না চাইলে পোলাইটলি না বলুন। কিন্তু খাবার শুঁকে কিংবা চেখে দেখে না বলাটা অভদ্রোচিত।
হ্যাভ আ গুড ডে
4 thoughts on “কিছু বেসিক সভ্যতা আর ভব্যতাঃ”
so creative,, thank you sir
অসংখ্য ধন্যবাদ।
পড়ে ভালো লাগলো। দাগ রেখে গেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ।