অ্যাডজুট্যান্ট, এসএম আর আরটি সাহেব মিলে প্ল্যানচেট করতে বসছে।
‘আরটি সাহেব এত দেরি হচ্ছে ক্যান?’, অসহিষ্ণু কণ্ঠে বলে উঠল অ্যাডজুট্যান্ট।
‘অনেক পুরাতন আত্মা মনে হয় স্যার, সেই জন্যই…’, মিনমিন করে আরটি সাহেব অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা করতেই এসএম সাহেব ধমকে উঠলেন, ‘আরে পুরাতন বলতে পুরাতন? সিও স্যারের যে পয়লা সিও স্যার আছিলেন, সেই সিও স্যারের জিওসি স্যারেরও সিনিয়র এই সাজু স্যার…’
‘সাজু স্যার না এসএম সাহেব’, গম্ভীর কণ্ঠে অ্যাডজুট্যান্ট শুধরে দেয়, ‘মহামান্য সানজু স্যার বলেন।’
এমন সময় আরটি সাহেব ঠোঁটে আঙুল রেখে ‘শশশ…’ করে উঠলেন। কোনো মিডিয়াম-টিডিয়াম ছাড়াই সানজুর আত্মা হাজির হয়েই গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, ‘ডাউট কী?’
আমতা আমতা করে এসএম সাহেব বলে উঠল, ‘আমি ডিস্টাপ করি নাই আপ্নেরে স্যার, অ্যাডজুট্যান্ট স্যার বুলাইসে, নতুন এডজুট্যান্ট তো, তেনার অনেক ডাউট স্যার…’
‘এসএম সাহেব, আপ্নে থামেন তো’, সুযোগ পেয়েই আরটি সাহেব খবর্দারি করে নিয়ে বললেন, ‘অ্যাডজুট্যান্ট স্যাররে বলতে দ্যান, স্যার আপনি ডাউট দেন, উনি শুনতি পাছছেন।’
খুকখুক করে গলাটা পরিষ্কার করে নিয়ে অ্যাডজুট্যান্ট শুরু করল, ‘মহামান্য সানজু স্যার, আপনি তো জানেনই শত মটিভেশনেও ইউনিট রিক্রিয়েশন রুমে সৈনিকদের উপস্থিতি তেমন বাড়ানো যাচ্ছে না। এদিকে সিও বলসেন নেক্সট উইকের ভেতর রিক্রিয়েশন রুমে এইট্টি পার্সেন্ট সৈনিক প্রেজেন্স এনশিউর করতে হবে। যদি কোনো বুদ্ধি বাতলে দেন, প্লিজ।’
মহামান্য সানজু কিছুক্ষণ কী যেন ভাবলেন, তার চৈনিক চেহারা দেখে মনে হলো তার মতো মহাত্মাকে এমন সহজ ডাউট দেওয়ার ব্যাপারটা তার খুব একটা পছন্দ হয়নি। যাহোক তিনি এক বাক্যে তার উপদেশ বাতলে দিলেন, ‘রিক্রিয়েশন রুমে ফ্রি ওয়াইফাই লাগিয়ে দে।’
তারপর হুস করে উবে গেলেন।
পরদিন থেকে রিক্রিয়েশন রুমের ভেতর-বাইরে সৈনিকদের উপচেপড়া ভিড়!